ঘুরেফিরে এক জায়গায় দায়িত্বের ট্রেডিশন থাকবে না -ডিআইজি

ইমাম খাইর •
আগামীতে পুলিশের কোন কর্মকর্তা ঘুরেফিরে এক জায়গায় দায়িত্ব পালনের ট্রেডিশন থাকবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে পাশের থানায় দায়িত্ব পালনে বিধি-নিষেধ নেই। সেটি আইনের লঙ্ঘন হওয়ার মতোও বিষয় নয়।

তবু, বিষয়টা নিয়ে সমালোচনা আসায় ঘুরে ফিরে একই জেলায় আর কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে না।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, টেকনাফে আবারো মাদক ব্যবসা বেড়েছে। তাদের নতুন তালিকা করা হবে। মাদক কারবারীদের বিন্দু পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না।

ডিআইজি বলেন, মাদক সেবন ও ব্যবসা দু’টিই অপরাধ। এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমরা যেহেতু নতুন মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা রিভিউ করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন আমরা তাই করব। নতুন তালিকা করে ইতোপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে কি ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, কি মামলা আছে, কার কি প্রোফাইল সব কিছু যাচাই করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিআইজি বলেন, কনস্টেবল থেকে এসপি পর্যন্ত যারা আছেন সবাই নতুন। যারা যোগদান করেছেন তাদের মনোবল বৃদ্ধি করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্বপালন করতে উৎসাহ দিতে হবে। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশের যে ভূমিকা আছে সেটি পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবে নতুন টিম। অপরাধ প্রবণতা দূর করতে সবাই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত আছে।

মাদক এবং অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে পেট্টোলিং বাড়ানো হবে।

ডিআইজি আনোয়ার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো কারণে কিছুটা শিথিল হয়েছিল পুলিশের কার্যক্রম । সেই শিথিলতা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে জেলা পুলিশের নতুন টিম।

এ সময় কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শাকিল আহমেদ ও টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশী চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় কমিউনিটি পুলিশের ভুমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠে। ফলে এ ঘটনার পর পুলিশের কর্মকান্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা-প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। জেলা পুলিশকে ঢেলে সাজাতে একযোগে সব সদস্যকে বদলি করা হয়।